জামার হাত গুটিয়ে নামাজ পড়া বা অর্ধেক আস্তিনওয়ালা জামা পরে নামাজ পড়া মাকরুহ। (রদ্দুল মুহতার : ১/৬৪০)। ১. কনুই পর্যন্ত হাতাওয়ালা বা কনুইয়ের অর্ধেক পর্যন্ত হাতাওয়ালা জামা পরে নামাজ পড়া কিংবা শার্ট বা শার্টজাতীয় পোশাক পরে নামাজ পড়া মাকরুহ। তাই পূর্ণ হাতাওয়ালা জামা বা শার্ট পরিধান করে নামাজ আদায় করতে হবে, যাতে নামাজ মাকরুহ না হয়। ২. যদি কেউ অজু করার সময় জামার আস্তিন গুটায় এবং নামাজের জামাতে দ্রুত শরিক হওয়ার জন্য আস্তিন না গুটিয়েই নামাজে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে ওই ব্যক্তির ওপর করণীয় হলোÑ সে নামাজে এক হাত ব্যবহার করে একটু একটু করে আস্তিন ছাড়াবে। দুই হাত ব্যবহার করবে না। যেন উভয় হাত ব্যবহারের ফলে আমলে কাসির হওয়ার দরুন নামাজ নষ্ট না হয়ে যায়। ৩. প্রচ- গরম বা ঘেমে যাওয়ার কারণে কেউ যদি নামাজের মধ্যে দুই হাত ব্যবহার করে আস্তিন গুটায়, তাহলে আমলে কাসির হওয়ার কারণে তার নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৬৪০; হালবি কাবির : পৃষ্ঠা-৩৫৭)। ৪. জুব্বা কিংবা কোর্তার দুই দিকে হাত বের না করে নামাজ পড়া মাকরুহ। (রদ্দুল কুহতার : ১/৬৩৮-৩৯; হালবি কাবির : পৃষ্ঠা- ৩৪৮)। নামাজে হাতা ছড়ানো যদি কোনো ব্যক্তি অজু করে দ্রুত জামাতে শামিল হওয়ার দরুন আস্তিন ছড়ানোর সুযোগ না পান এবং সে অবস্থায়ই নামাজে দাঁড়িয়ে যান এবং নামাজে আমলে কাসির ছাড়া আস্তিন ছড়ান, তাহলে তার নামাজে কোনো সমস্যা হবে না। এর তরিকা হলো তিনি এক হাত দিয়ে আস্তিনের কিছু অংশ দাঁড়িয়ে, কিছু অংশ রুকুতে, কিছু অংশ রুকু থেকে দাঁড়িয়ে, কিছু অংশ বৈঠকে, কিছু অংশ সিজদায় ছড়াবেন। এতে ‘আমলে কলিল’ হওয়ার ফলে তার নামাজে এর কোনো প্রভাব পড়বে না এবং নামাজ মাকরুহও হবে না। (রদ্দুল মুহতার : ১/৬৪০)। |