আল-কুরান থেকে ১০টি উপদেশ
১-সালাতে উত্তম পোশাক পরিধানকরো। [সূরা আ’রাফ ৭:৩১]
২- মানুষকে প্রতারণা দেওয়ার জন্য ওজনে কম দিও না। [সূরা আন’আম ৬:১৫২]
৩- সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একেঅন্যের সহায়তা করো না। [সূরামায়িদা ৫:২]
৪-মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করো। [সূরা নিসা ৪:৫৮]
৫- অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদাও। [সূরা মায়িদা ৫:৩৮]
৬- পাপ ও অবৈধ জিনিসের বিরুদ্ধে শ্রম ব্যয় করো। [সূরা মায়িদা ৫:৬৩]
৭- মাদক দ্রব্য (আলকোহল) বর্জন করো। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]
৮- জুয়া খেলো না। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]
৯- প্রজ্ঞা ও উত্তম নির্দেশনা দ্বারা আল্লাহ্ তাআলার প্রতি আহ্বাব করা উচিত। [সূরা নাহ্ল ১৬:১১৯]
১০- পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। [সূরা ইসরা ১৭:২৩]
হাদিস শরীফ থেকে ১০টি উপদেশ
১-শ্রেষ্ঠ কথা চারটি :
ক. সুবহানাল্লাহ – আল্লাহ পবিত্র ,
খ. আল হামদুলিল্লাহ – সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর ,
গ. লা – ইলাহা ইল্লাল্লাহ – আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই,
ঘ. আল্লাহু আকবর – আল্লাহ মহান। [ সহীহ মুসলিম ]
২-যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না । তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে
৩- সালাত জান্নাতের চাবি। [ আহমদ ]
৪- পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। [ সহীহ মুসলিম ]
৫- তুমি মুমিন হবে তখন , যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে , আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট। [ আহমদ ]
৬- ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। [ তারগীব ]
৭- যে কেউ এই ঘোষণা দেবে : ‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই আর মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসূল ’ – আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্যে নিষিদ্ধ করে দেবেন।[ সহীহ বুখারী ]
৮- বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো , তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা । [ সহীহ বুখারী ]
৯- আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। [ সহীহ বুখারী ]
১০- হজ্জ ও উমরা পালনকারীরা আল্লার মেহমান। [ মিশকাত ]
হজরত আলী (রাঃ) এর ১০টি উপদেশ
আলী ইবন আবী তালিব (জন্ম: খ্রিস্টাব্দ ৬০০ – ৬৬১) ইসলামের চতুর্থ ও শেষ খলিফা। তিনি ছিলেন আবু তালিবের পুত্র। তাঁর মাতার নাম ফাতিমা বিনতে আসাদ । হয়রত আলী কোরায়েশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। শিশু বয়স থেকেই তিনি ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদের (সা:) সঙ্গে লালিত-পালিত হন। ইসলামের ইতিহাসে তিনি পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি হযরত মুহাম্মদের সাথে নামাজ আদায় করতেন। বালকদের মধ্যে তিনি সর্ব প্রথম বালক যিনি নবুয়তের ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন অকুতভয় যোদ্ধা। বদর যুদ্ধে বিশেষ বীরত্তের জন্য মুহাম্মদ তাঁকে “জুলফিকার” নামক তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। খাইবারের সুরক্ষিত কামূস দুর্গ জয় করলে মহানবী তাঁকে “আসাদুল্লাহ” বা আল্লাহর সিংহ উপাধি দেন। তিনি খুলাফায়ে রাশেদীন-এর একজন।
১- “ পাপ লুকানোর চেষ্টা করে কোনোদিন সফলকাম হতে পারে না। পাপের কথা স্বীকার করে যদি কেউ তা ত্যাগ করার চেষ্টা করে তবে তার পক্ষে সফলতা লাভ করা স্বাভাবিক ”
২- বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না
৩- মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু
৪- যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না
৫- স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বড় সুখ আর কিছু নেই
৬- কৃপণতা সকল বদভ্যাসের সম্মিলিত রুপ। এটা এমনি এক লাগাম যা দ্বারা যে কোন অন্যায়ের দিকে টেনে নেওয়া চলে।
৭- কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে
৮- মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো
৯- বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে।
১০- যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না । তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে